স্বদেশ ডেস্ক:
ভেন্যু না পাওয়ায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল পিছিয়ে দেয়া হযেছে জানিয়ে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, ৩০ নভেম্বর আইইবির অনুষ্ঠানস্থল ফাঁকা না থাকায় জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ২১ ডিসেম্বর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে আমরা রাজনীতি করবো। যারা বলেছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের অবর্তমানে জাতীয় পার্টি ভেঙে যাবে, তাদের ধারণা মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি অরো সুশৃংখল এবং শক্তিশালী হিসেবে বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে থাকবে।
বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (আইবি) মিলনায়তনে জাতীয় ছাত্র সমাজের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভায় সভার প্রধান অতিথি বক্তৃতায় তিনি এসব কথা জানান। জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মোঃ জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ফয়সাল দিদার দিপু’র উপস্থাপনায় সাংগঠনিক সভায় বক্তৃতা করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, এড. রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান আদেল এমপি, যুগ্ম-মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, সাংগঠনিক সম্পাদক নির্মল দাশ, এড. আব্দুল হামিদ ভাষানী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, যুগ্ম-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিরু প্রমুখ।
এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক, যুগ্ম-মহাসচিব মনিরুল ইসলাম মিলন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মোঃ ইসহাক ভুইয়া, সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, আবু জায়েদ মাখন সরকার, ইকবাল হোসেন তাপস, মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান চৌধুরী, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক ইব্রাহীম খান জুয়েল, মোস্তাফিজুর রহমান, নকিবুল হাসান নিলয়, নাজমুল হাসান, শাহ ইমরান রিপন, আমিনুল হক মোল্লা, এরশাদুল বারী নাসিম, ফয়সাল রানা, এরশাদ সিদ্দিকী, নুর মোহাম্মদ, অর্নব চৌধুরী, জোবায়ের আহমেদ প্রমুখ।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, অনেকেই বলেন- এরশাদ সাহেব নিজেই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই ছাত্র সমাজের প্রয়োজনীয়তা পরে তিনি উপলব্ধি করেন। তিনি যখন জেলে, তখন জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, এ নিয়ে যখন সিদ্ধান্তে আসতে পারছিলেন না, তখন জাতীয় ছাত্র সমাজ বলেছিল, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, আমরা নির্বাচনে যাব। লেজুরবৃত্তি রাজনীতির ধারা থেকে বেরিয়ে এসে জাতীয় ছাত্রসমাজ ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের জন্য কাজ করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে উঠবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
জিএম কাদের বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক শুন্যতায় জাতীয় পার্টি আরো শক্তিশালী হয়ে, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা পূরণের কর্মসূচি দিয়ে দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জাতীয় পার্টি আগামী দিনে রাজনীতির নিয়ামক এবং চালিকা শক্তি হয়ে থাকবে। রাজনীতি করতে অর্থের প্রয়োজন আছে। কিন্তু অর্থের জন্য রাজনীতি করা দূর্বৃত্তায়ন। জাতীয় পার্টির আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় এসেছে, তাই জাতীয় ছাত্র সমাজকে আরো শক্তিশালী হতে হবে।